তোমার আছে অতলান্তিকের সীমাহীন ফেনিল জলরাশি, আছে ঊর্মির নাচন, তুমি তাই উচ্ছ্বাসে ডুব দিতে পারো, সন্তরনে করো মীনের সঙ্গে জলকেলি। ভোর সকালে একফালি রোদ এসে তোমার জানালায় বসে থাকে, তোমার বাড়ির লনে শিশির বিন্দুগুলো মুক্তো হয়ে ছড়িয়ে থাকে, বাসিমুখে তুমি প্রতি সকালে দেখতে পাও একটি চমৎকার পরিপাটি শহর কেমন ফুল ফোঁটার মত করে জেগে ওঠে! তুমি তাই সেতারের মূর্ছনায় জীবনটাকে আদর করতে পারো, একটি সমৃদ্ধ জীবনের শাস্ত্রীয় সংগীত তোমাকেই সাজে।
আমার ওসব কিছুই নেই। প্রতিদিন আমার দৃষ্টি আটকে যায় কংক্রিটের দালানে, ভোর সকালে উঠেও দেখি আমার জানালার পাশে কংক্রিটের দৈত্যটা দাঁড়িয়ে আছে, হাত বাড়িয়ে খুঁজে বেড়াই এক ফালি নরোম রোদ্দুর, শিশিরেরা হারিয়ে গেছে সেই কবেই। একটা বৃক্ষ কোথায় যে সাতসকালে পাখির কিচিমিচির শুনবো! ঘরের বাইরে পা ফেললেই দেখি কংক্রিটের জঙ্গল আর অজগরের মতো একেকটি রাস্তা যার পেটে শুধু যন্ত্রযান আর মানুষ কিট। সংগীতের মূর্ছনা ছাপিয়ে চিৎকার করে ওঠে যন্ত্রদানবের গোষ্ঠি-পাল। অতি সহজেই প্রতিদিন ভুলে যাই একটি সেতারের কথা, একটি গীটার কিংবা ছন্দ-মাতন তবলার কথা। ভুলে যাই ব্যালকনিতে বসে ইতিহাস হয়ে যাওয়া এক কাপ চা, একটি কবিতার বই আর রবীন্দ্র সংগীত।
আমার এখন আর সেসবের কিছুই নেই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।